বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিভাগ ও জেলা পার্যায়ে ৪৫ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি জোরদার করেছে টিসিবি।
বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে মিশর, তুরষ্ক, পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়অ হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশি পেঁয়াজ (পাতাসহ) বাজারে এসেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুত গতিতে কমছে। এখন পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে।
পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এজন্য আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার কমানো হয়েছে।
স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানি করা পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।
এছাড়া পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
জিসিজি/এমএ