রোববার (২৪ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। অতিরিক্ত সচিব পরাগের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ সুগার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিনি উৎপাদন ব্যয়বহুল। ভোক্তাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকার কমমূল্যে বাজারে চিনি সরবরাহ করে থাকে। ডিলাররা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজারে চিনি না নিলে বাজারে চিনির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডিলাররা সুগার কর্পোরেশনের চিনি নিলে বাজারে ফ্রি সেলের কোনো প্রয়োজন হয় না। তারা বরাদ্দ অনুযায়ী নির্ধারিত চিনি নেন না বলেই ফ্রি সেলে বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, যেসব ডিলার জামানতের টাকা ফেরত চেয়েছেন, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করে জামানত দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে। এজন্য কোনো তদবির করা লাগবে না। চিনি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। চিনি কলগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সুগার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বলেন, চিনি ডিলারদের দাবি অনুসারে চিনি উত্তোলনের সময়সীমা বারবার পেছানো হয়েছে। এখনও কিছু কিছু ডিলার সর্ম্পূণ চিনি উত্তোলন করেননি। তিনি বলেন, চিনি ডিলাররা সময়মত চিনি উত্তোলন না করলে কর্পোরেশনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হয় না।
এসময় অতিরিক্ত সচিব পরাগ ডিলারশিপ দ্রুত নবায়ন করার জন্য ডিলারদের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস