ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংক একটি জাতির মেরুদণ্ড: সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
ব্যাংক একটি জাতির মেরুদণ্ড: সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী

ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বেসরকারি খাতের মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেছেন, ব্যাংক একটি জাতির মেরুদণ্ড। যে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম যত শক্তিশালী, সে দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের এমটিবি টাওয়ারে ‘ব্যাংকিং মিউজিয়াম, স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা ও মুজিব শতবর্ষ’ নিয়ে প্রকাশ করা ক্যালেন্ডারের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, আমরা আজ ব্যাংকিং মিউজিয়াম, স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা ও মুজিব শতবর্ষ নিয়ে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছি।

আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যাংকেরই এসব কাজ করা উচিত। আমাদের বাঙালিদের চরিত্রেই আছে ইতিহাসটা মনে রাখি না বা মনে রাখতে চাই না।

‘আজ মঞ্জুর এলাহী এই পজিশনে এসেছে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই। বাংলাদেশ না হলে আমি একটি চাকরি করতাম। সেই চাকরি থেকে একদিন রিটায়ার্ড করে ফেলতাম। আমি প্রতিটি দিন কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির পিতাকে। উনার জন্য আজকে আমাদের এত মানুষের চাকরি হয়েছে। ’

উপস্থিতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি পাকিস্তান থাকতো কেউ চাকরি পেতেন না। আমি ব্যবসা করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু ইজ অ্যাভাব পলিটিক্স। মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কী কেউ সমালোচনা করে? মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নিয়ে কী কেউ সমালোচনা করে?

‘কিন্তু আমরা এমন একটা জাতি, যারা সমালোচনা করতে ভালোবাসি। কয়েকজন ব্যক্তি আছেন সমালোচনার ঊর্ধ্বে। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। ইজ নট অ্যা কোয়েশ্চেন অব পার্টি। ইজ কোয়েশ্চেন অব হি (শেখ মুজিবুর রহমান) ইজ আওয়ার ফাদার অব দ্য নেশন। জাতির পিতাকে স্মরণ করার জন্য প্রতিটি জায়গায় আমাদের একটি থিম থাকা উচিত। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। বঙ্গবন্ধু সাংঘাতিক প্রাউড পারসন ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এটা আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা। ’

এমটিবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, সবকিছুই কিন্তু ব্যাংকিং খাতের ওপর চলে। ব্যাংকিং খাত ক্রেডিট দেয়, টাকা রিসিভ করে, ইন্টারেস্ট দেয়, যারা রিটায়ার্ড করেন তাদের একটা সুবিধা দেয়। ইনভেস্ট করে কর্মসংস্থান হয়। বিরাট একটা অংক ইকোনোমিতে থাকে।  

‘যে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম শক্ত ভিত্তিতে আছে, সেই দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী। ব্যাংকিং সেক্টর ভালো না থাকলে অর্থনীতি ভালো করতে পারবে না-এটা খুবই স্বাভাবিক। সেজন্য যে কোনো গর্ভমেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরকে কন্ট্রোল করে যেকোনো রিজিয়নের জন্য। ’

তিনি বলেন, আমার এখনো মনে আছে ব্যাংকিং সেক্টরের গ্রো টা হয়েছে পাকিস্তান আমলে। বাঙালিদের ঢুকেতেই দেওয়া হতো না। অনেক আন্দোলন করায় দুটো ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলো।  ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন ও ইস্টার্ন মার্চেন্ট করপোরেশন। ইস্টার্ন মার্চেন্টই এখন মার্কেন্টাইল ব্যাংক। একটি জহুরুল ইসলামের। আরেকটি একে খানের। এই প্রথম বাঙালিরা ব্যাংকিং সেক্টরে আসলো।  

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, অনেকেই মনে করেন ব্যাংক মানেই রসকসহীন। না, আমাদের মধ্যে কিছু রসকস আছে। ইতিহাসকে সুন্দরভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান, নতুন এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. হেদায়েত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।  

আর ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রফিকুল হক অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।