তিনি বলেন, আমরা যেসব দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠাই। সেসব দক্ষ শ্রমিকের বাজার প্রবাসে অনেক বড়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক প্রেসব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, সৌদিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইলিগ্যালদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, শ্রমিকরা রোজগারের তাগিদে বিদেশে যান। টাকা বৈধ চ্যানেলে পাঠান। দেশের জন্য তারা বিরাট ভূমিকা রাখেন। অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশে দালালের খপ্পরে পড়া থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহায়তা চান তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, মানুষেকে সচেতন করতে আপনাদের সহযোগিতায় বার্তাটি মানুষের মুখেমুখে পৌঁছাতে পারি। দালাল চক্র থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন রাখতে পারলে, তবেই সফলতা।
কারো খপ্পরে পড়ার আগে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কেউ খোঁজখবর নিয়ে এগুলে ভোগান্তি ও লাঞ্ছনা পোহাতে হবে না।
ইমরান আহমদ বলেন, মানুষ যখন ইলিগ্যাল পথে গিয়ে বিপদে পড়েন, তখন ইলিগ্যাল আর লিগ্যাল পথ দেখি না। আমি যা দেখি, আমাদের দেশের একজন নাগরিক। নিজের পয়সা খরচ করে বিপদে পড়েছে, তাদের বাঁচানোর দায়িত্বটা আমাদের ওপর আসে।
মন্ত্রী বলেন, গরিব মানুষকে দালাল চক্র থেকে বাঁচাতে যা করা লাগে করবো। এজন্য আমরা অনেকটা সিস্টেমস ডেভেলপ করছি। বিদেশ গমনেচ্ছুকরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনে করতে পারেন। প্রতিটি ধাপে সংশোধন আনা হবে।
এসময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ ঘোষণা অনুযায়ী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ কর্মসংস্থান সৃজনের পরিকল্পনা এবং প্রতি উপজেলা থেকে গড়ে ১ হাজার জন যুব ও যুবাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। তবে তার আগে মানুষকে সচেতন করে তোলা অন্যতম কাজ বলেও অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে ১৭৩টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখের অধিক বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত আছেন। তারা বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়নের অধিক মার্কিন ডলার দেশে রেমিটেন্স পাঠান।
তাছাড়া জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেখানে জনবলের অভাবে তাদের অর্থনীতির চাকাও প্রায় অচলের পথে। তাই বিশ্বের ৮টি দেশ থেকে জনবল নিয়ে তাদের অর্থনীতির চাকা সচলের চেষ্টা করছে। এ বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে সিনজো আবেকে জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সচল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং এ বছরের ২৭ আগস্ট টোকিওতে জাপান সরকারের সঙ্গে শ্রম বিষয়ে সহযোগিতামূলক মেমোরেন্ডাম চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এনইউ/আরবি/