তিনি বলেন, শহরের সব স্তরের মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ ও বাংলাদেশের জন্য এটি একটি মাইলস্টোন। একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের শুভ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই জানি নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আইন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার অত্যন্ত যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ। ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে এবং খাবার নিরাপদ বা অনিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করবে।
এছাড়া দূষণ ও ভেজালের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করবে এবং কীভাবে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপদ রাখতে পারি তাও প্রদর্শন করবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, অতি লোভ ও অতি মুনাফার লোভে একদল ভেজালকারী খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব রয়েছে। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, ভেজালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, সচেতন হতে হবে প্রতিটি মানুষকে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে।
‘একজন ভেজালকারী নিজেও অন্য পণ্যের একজন ভোক্তা। তখন তিনি নিজেও ভেজালপণ্য গ্রহণ করেন। ’
মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে ভোক্তার পাত পর্যন্ত খাদ্যশৃঙ্খলের প্রতিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে। এ কাজে আমাদের কৃষক থেকে শুরু করে খাদ্যশিল্প, কাঁচাবাজার, পথ খাবার বিক্রেতা, খাদ্য ব্যবসায়ী, সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ, এনজিও, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষাগার, বেসরকারি ও সরকারসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, ভেজালের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, এফএও-এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ডক্টর ওসাগিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, সহযোগী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
জিসিজি/এএ