ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর দিতে হয়রানি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
কর দিতে হয়রানি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কর দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ হয়রানি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, কর দেওয়ায় কেউ হয়রানির শিকার হলে আমাকে জানাবেন। আমার দরজা সবসময় খোলা আছে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেন্বর) শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও ওপর কর চাপিয়ে দেইনি।

আমরা ট্যাক্সকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করেছি, যাতে সবাই কর দিতে পারেন। আমাদের যা সম্পদ রয়েছে এর যথাযথ ব্যবহার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাবো।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সুলতান মো. ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান সিকদার।

এদিন ভ্যাটপ্রদানে উৎসাহ দিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে ১৪৪ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরিতে নয়টি ও জেলা পর্যায়ে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পায়।

জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা এ তিনটি খাতে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে উৎপাদন খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- স্কয়ার ফরমুলেশনস লিমিটেড, এরিস্টো ফার্মা লিমিটেড ও রসিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট। ব্যবসায় খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- মেসার্স হ্যামকো করপোরেশন লিমিটেড, এসসি জনসন প্রাইভেট লিমিটেড ও সিমেন্স হেলথ কেয়ার লিমিটেড। সেবা খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- চিটাগং ওয়্যারহাউস লিমিটেড, কাতার এয়ারওয়েজ ও থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড।

জেলা পর্যায়ে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা খাতের ১৩৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, সেমস ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড; কিশোরগঞ্জ জেলায় এমএম খান ফুড, মাহাবুব ট্রেডার্স ও মদন গোপাল সুইটস কেবিন; গাজীপুর জেলায় পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড; নেত্রকোনায় আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও শিল্পী এন্টারপ্রাইজ এবং শেরপুরে বাজাজ কর্নার ও চারু সুইটস শেরপুর।

ময়মনসিংহে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও গোপাল পালের প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকান; মুন্সীগঞ্জে সুপার ফরমিকা অ্যান্ড লেমিনেশন লিমিটেড; নারায়ণগঞ্জে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সজীব করপোরেশন; নরসিংদীতে আরএফএল ইলেকট্রনিকস লিমিটেড ও সোহেল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেড; জামালপুরে মোহিনী বিড়ি ফ্যাক্টরি, মেসার্স দেশ নির্মাণ ও আজমেরী সুইটস; টাঙ্গাইলে ভিকার কনক্রিট প্রডাক্টস, মেসার্স জুপিটার এন্টারপ্রাইজ ও গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার; মানিকগঞ্জে নিপ্পন পেইন্ট (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড পুরস্কার পেয়েছে।

কক্সবাজারে পুরস্কার পেয়েছে ওশেন প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট; খাগড়াছড়িতে ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ও অরণ্য বিলাস; চট্টগ্রামে বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, ব্র্যাক আড়ং, চৌধুরী টি ওয়্যারহাউস ও বান্দরবানে হোটেল হিলভিউ রেসিডেনসিয়াল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেয়েছে আকিজ এগ্রো প্রসেসিং ফ্যাক্টরি, নিউ নবাব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, অর্থী বাজাজ মার্ট; নওগাঁয় মেঘলা এন্টারপ্রাইজ, এসআর ট্রাভেলস; নাটোরে নাটোর এগ্রো লিমিটেড, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ, মৌচাক মিষ্টি ভাণ্ডার; পাবনায় আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড, তরঙ্গ ট্রেডার্স ও ইয়াকুব অটো সার্ভিস সেন্টার; বগুড়ায় এবি সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজ, আমির অ্যান্ড সন্স ও এশিয়ান সুইট মিট অ্যান্ড কোল্ড ড্রিংস; রাজশাহীতে নিটল-নিলয় ফিল্ডার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন প্লাজা, নানকিং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট; সিরাজগঞ্জে মেসার্স কিছমত বিড়ি ফ্যাক্টরি, মনিকা ডিস্ট্রিবিউশন ও ধানসিঁড়ি দই ঘর।

মৌলভীবাজারে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলো ইস্পাহানি টি লিমিটেড, সিলেটে শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড; সুনামগঞ্জে মেসার্স সীমা লাইমস ইন্ডাস্ট্রিজ, পিকে ট্রেডিং ডিস্ট্রিবিউটর, লতিফা কমিউনিটি সেন্টার; হবিগঞ্জে হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড, মেসার্স শরীফ স্টোর ও গ্রিন প্লানেট রিসোর্ট লিমিটেড; কুমিলায় শফিউল আলম স্টিল রি-রোলিং মিলস, এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বনফুল অ্যান্ড কোং; চাঁদপুরে মোহাম্মদ আলী ফুড প্রডাক্টস, রেডচিলি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট; নোয়াখালীতে গ্লোব ড্রাগস লিমিটেড, আদিত মোটরসাইকেল গ্যালারি ও বিশ্বনাথ কর্মকার অ্যান্ড আদার্স; ফেনীতে আবুল বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড, হাজী এন্টারপ্রাইজ ও স্টার লাইন স্পেশাল; ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চৌধুরী রিফাইনারি লিমিটেড, মেসার্স হোটেল উজান ভাটি; লক্ষ্মীপুরে হরিনারায়ণ মজুমদার অ্যান্ড সন্স, মোহাম্মদীয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট; খুলনায় খোরশেদ মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, সেফ অ্যান্ড সেভ ও সিটি ইন লিমিটেড; ঝালকাঠিতে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস, সারেং ফার্নিচার; পিরোজপুরে মেসার্স ছালেহিয়া ডকইয়ার্ড; পটুয়াখালীতে সিকদার কেমিক্যাল ওয়ার্কস, মল্লিকা রেস্তোরাঁ; বাগেরহাটে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড, হোটেল পশুর; বরগুনায় মেসার্স হক কেমিক্যাল ওয়ার্কস, মেসার্স হুমায়ুন স্টোর, বরিশালে অলিম্পিক সিমেন্ট লিমিটেড, এশিয়ান পেইন্টস (বিডি) লিমিটেড, গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজ; শরীয়তপুরে বাজাজ ভিলেজ; সাতক্ষীরায় চায়না বাংলা ফুডস, বাজাজ সেলস পয়েন্ট, পানসি রেস্তোরাঁ; কুষ্টিয়ায় বনানি বিড়ি ফ্যাক্টরি, রেকিট বেনকাইজার লিমিটেড, দিশা; গোপালগঞ্জে মেসার্স রুবেল কেমিক্যাল বাংলাদেশ, মেসার্স কাজী সৈয়দ আলী, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস; চুয়াডাঙ্গায় বাজাজ মোটরস; ঝিনাইদহে আকাশ ফোম ইন্ডাস্ট্রিজ, জননী অটোস; যশোরে ওরিয়েন্টাল ওয়েল কোং লিমিটেড, শুভ এন্টারপ্রাইজ, রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন; নড়াইলে ঐশী এন্টারপ্রাইজ; ফরিদপুরে শেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, জ্যামসন্স ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স হোটেল র‌্যাফেল ইন; মাগুরার মেসার্স আমিন মোটরস; মেহেরপুরে ইসলাম স্টোর, আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার; রাজবাড়ীতে মেসার্স মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আমিন বাজাজ; কুড়িগ্রামে মেসার্স জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরি, নাসির অ্যান্ড কোং, টেরডেস হোমস গেস্ট হাউস; গাইবান্ধায় মেসার্স বাজাজ প্যালেস, এসকেএসএন; ঠাকুরগাঁওয়ে রউফ ট্রেডার্স, গাওসিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট; দিনাজপুরে কিউভিসি বিডি লিমিটেড, নূর মোটরস, জুয়েল ট্রেডার্স; নীলফামারীতে সানিকা সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেড, মেসার্স আলহাজ কুতুব অ্যান্ড সন্স; পঞ্চগড়ে ম্যাক্স প্রি-স্ট্রেস লিমিটেড, আশা এন্টারপ্রাইজ; রংপুরে মায়া বিড়ি, ওয়ালটন প্লাজা, আরডিআরএস গেস্ট হাউস এবং লালমনিরহাটে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এসএমএকে/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।