ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘শিগগিরই ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
‘শিগগিরই ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে’

ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সাপ্লাই চেন সচল রাখতে খুব শিগগিরই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘স্টাডি অন সাপ্লাই চেন রেজিলেন্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার।

দেশের অর্থনীতির ‘লাইফলাইন’খ্যাত এ মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। আর এ প্রকল্পের সড়কটি উড়াল হলে বাস্তবায়নে ৬৭ হাজার ২৫২ কোটি টাকা এবং আংশিক উড়াল ও মাটিতে হলে ২৬ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সময় লাগবে চার বছর। সড়কটি বাস্তবায়নের জন্য চৌদ্দগ্রামসহ কুমিল্লা অঞ্চলে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার চিন্তা অনেক আগের। এটা বাস্তবায়ন করলে সাপ্লাই চেইনে কোনো সমস্যা হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা একটাই। তাই শিগগিরই আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করতে হবে।

দেশের শ্রমশক্তি প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘১০ বছর পর দেশে স্বস্তায় শ্রম পাওয়া যাবে না। এসময় শ্রমিক ঘাটতি পড়বে এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ মানুষ। জনসংখ্যাকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে, এটা দূর করতে কাজ চলছে। অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে যেন কোনোভাবেই সাপ্লাই চেইনের ঘাটতি না হয়। কৃষকেরও সাপ্লাই চেইন দরকার আছে। তিনি যেন তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারে এনে বিক্রি করতে পারেন। ’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমই সভাপতি রুবানা হক, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯ 
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।