ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নারায়ণগঞ্জের ২০ চোরাই সুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
নারায়ণগঞ্জের ২০ চোরাই সুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ: বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ২০ জন সুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে কাস্টমস অ্যান্ড কমিশনারেট।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কাস্টমস অ্যান্ড কমিশনারেট এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান মো. নাহিদুল হাসান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় মামুন নামের একজনকে আটক করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় এবং নিকটস্থ মাঠে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৯ হাজার ৪৪ কেজি বন্ডেড সুতা উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য এক কোটি টাকা।

আতিকুর রহমানের মামলার আসামিরা হলেন- হাজি বিল্লাল (বিসমি অ্যান্ড ট্রেডিং), ব্যবসায়ী হাজি ইসমাইল (জেমি এন্টারপ্রাইজ), ফরহাদ (টানবাজারের ব্যবসায়ী), সুব্রত রায় (এস এস থ্রেড এক্সেসরিজ), বিপুল মন্ডল (শুভা এন্টারপ্রাইজ), পুলক চৌধুরী (মেসার্স পুলক চৌধুরী), মো. সেলিম রেজা (এইচ এস থ্রেডিং), মো. গোলাম কিবরিয়া মামুন (তোতা ইয়ার্ন থ্রেডিং), আব্দুল মান্নান মিয়া (জামান ইয়ার্ন থ্রেডিং) ও খান নজরুল ইসলাম (শিমুলিয়া থ্রেড ইন্টারন্যাশনাল)।

গত ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের সুতারপাড়া, বংশাল রোড এলাকার সাদ ট্রেডার্স এবং আজাদ ট্রেডার্সের গুদামে অভিযানেও ২৫ হাজার ৮৩৬ কেজি অবৈধ বন্ডেড সুতা আটক করা হয়। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ঘটনায়ও আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

মো. আতিকুর রহমানের দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- মো. জহির হোসেন (মেসার্স সাদ ট্রেডার্স), মো. আওলাদ হোসেন (মেসার্স আজাদ ট্রেডার্স), হাজি ইসমাইল (জেমি এন্টারপ্রাইজ), ফরহাদ (টানবাজারের ব্যবসায়ী), মো. আমিনউদ্দিন (সুতাঘর), গোবিন্দ্র চন্দ্র সাহা (রিতা ট্রেডার্স), মো. আইয়ুব আলী, মো. সেলিম (যাকি এন্টারপ্রাইজ), সমির সাহা (এনবি ট্রেডিং), রুহুল আমিন (আমিন ব্রাদার্স)।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অবৈধ সুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে বন্ড কমিশনারেট। আসামিদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

ডেপুটি কমিশনার রেজভী আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের পণ্য অবৈধভাবে খোলা বাজারে চলে আসছে। তার বিরুদ্ধে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট নিরবচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে আসছে।

৮ ডিসেম্বর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা টানবাজারে হাজি বিল্লাল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমি ইয়ার্ন ট্রেডিংয়ের গুদামে এ অভিযান চালিয়ে একই অভিযোগে এক কোটি টাকা মূল্যের ১০ টন বন্ডেড সুতা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কাস্টমস বন্ড কমিশন। গাজীপুরের জেলার টঙ্গী উপজেলার ভাদাম এলাকায় অবস্থিত রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান সুপ্রভো কম্পোজিট নিট কারখানার নামে কাপড় তৈরির জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব বন্ডেড সুতা আমদানি করা হলেও গোপনে উচ্চমূল্যে এসব সুতা অবৈধভাবে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বিসমি ইয়ার্ন ট্রেডিংয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়।  

মূলত ওই ঘটনার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের চোরাই সুতা ক্রয়-বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের নজরদারি শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কাস্টমস বন্ড কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।