জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে সরকারি হিসাব সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংসদের গণসংযোগ বিভাগ।
কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, আহসানুল ইসলাম টিটু, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং মো. জাহিদুর রহমান অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়-প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের প্রাপ্যতা বহির্ভূতভাবে যাতায়াত ভাতা দেওয়ায় ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫০ টাকা আর্থিক ব্যয় হয়েছে বলে অডিট আপত্তি উথাপন করা হয়। অনধিক তিন মাসের মধ্যে অনাদায়ী টাকা আদায় এবং আদায়কৃত টাকার জমাদান প্রমাণ সাপেক্ষে অডিটের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে নিষ্পত্তির সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ফি বাবদ আদায় করা অর্থ বিধি মোতাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্ট তহবিলে জমা না করায় ৬৪ কোটি ৫৫ লাখ ৯২৬ টাকা, বিলের চেয়ে বেশি টাকার চেক ইস্যু করায় ছয় কোটি ৩৪ লাখ ৪৩৩ টাকা, উচ্চতর শিক্ষাশেষে চাকরিতে যোগদান না করা সত্ত্বেও বেতন ভাতাদি বাবদ অনিয়মিতভাবে ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৫ টাকা ব্যয় হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে গবেষণা ভাতা নামে শিক্ষকদের ৮৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা পরিশোধ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে টেষ্টিং ফি’র অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা না করে নিজেদের মধ্যে বন্টন করায় এককোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩১ টাকা আর্থিক ক্ষতি এবং শিক্ষাসপ্তাহ উদযাপন বাবদ শিক্ষাবোর্ডগুলো থেকে সংগৃহীত অব্যয়িত ৩ কোটি ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬৯ টাকা কোষাগারে জমা না করায় আর্থিক ক্ষতি মর্মে উত্থাপিত অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি আপত্তি দু’টো নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত ভাতাগ্রহণ এবং মূল বেতনের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাতা যোগ করে বাড়ি ভাড়া ভাতা গ্রহণ করায় ৩২ লাখ ছয় হাজার ১৪৮টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে এসব আপত্তি নিষ্পত্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সিঅ্যান্ড এজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, অডিট অফিস এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এসই/এএটি