তিনি বলেছেন, খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে কৃষি খাত লাভবান হবে। অবকাঠামোসহ এসব খাতে আমরা কানাডার সহযোগিতা চেয়েছি।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্তি কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফন্তন সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী। এ সময় অতিরিক্ত সচিব পিপিসি উইং ড. মো. আবদুর রৌফ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিকভ সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। ১৯৭২ সালে এ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কানাডা।
‘কানাডা বাংলাদেশের ভালো বন্ধু প্রতিম দেশ। দুই দেশেই গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিরাজমান। বাংলাদেশে বিনিয়োগের খুবই ভালো পরিবেশ রয়েছে। এক্ষেত্রে কানাডার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। ’
তিনি বলেন, আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষক এবং টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে এ সেক্টর আরও লাভবান হবে। যা জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করবে।
কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকা নিরাপত্তার দিক দিয়ে ভালো। কোনো সন্ত্রাসবাদ নেই। শুধু যানজট আছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন প্রশংসনীয়। দু’দেশের মাঝে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ়করণের লক্ষ্যে কাজ করছে কানাডা।
‘কানাডার বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা যেকোনো দেশের ব্যবসায়ী সমাজের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কানাডা কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ টেকনিকাল সহায়তা করবে বাংলাদেশকে। ’
বেনোয়াট প্রেফন্তন বলেন, কানাডায় হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা রয়েছে। আর বাংলাদেশের এই দুইটি খাতেই রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। কানাডা এদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করবে কানাডা।
এছাড়া টেকনিক্যাল খাতেও সহায়তা করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার।
হাইকমিশেনারের নেতৃত্বে কানাডার চার সদ্যসের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দেশটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি ডিরেক্টর মার্ক স্ট্রেসার, বাণিজ্য বিষয়ক কাউন্সেলর করিনিন পেট্রিসর, কানাডা হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
জিসিজি/এমএ