পোশাকশিল্পের উন্নয়নে মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস, গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ এবং প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিস নিয়ে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী বসুন্ধরার ১০টি হলে প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী চারটি ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত চলবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বসুন্ধরার আইসিসিবির নবরাত্রী হলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিপিএমইএ) আয়োজিত তৈরি পোশাকশিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ সময় বিজিপিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, মেলার কো-অর্গানাইজার এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে ও জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ভূঁইয়াসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও অ্যাসোসিয়েমনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিজিএপিএমইএ’র অ্যাডভাইজার রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, পোশাক শিল্পের সঙ্গে এই অ্যাক্সেসরিজ শিল্প ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। আগে এর প্রতিটি পণ্য আমদানি করা হতো। তার বিকল্প হিসেবে দেশে এ শিল্পের পদযাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় দেশে ১৭ হাজার শিল্প-কারখানা রয়েছে। প্রায় সাত বিলিয়ন ডলারের শিল্পখাত হিসেবে ধরা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য অর্জনে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে তৈরি পোশাকখাত। এর মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার অ্যাক্সেসরিজ পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের মেশিনারি এবং এর সহায়ক পণ্যের ১৯ তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী গামেন্টর্স বাংলাদেশ ২০২০, ১১ তম ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক্স সোর্সিং ফেয়ার, ১১ তম গ্যাপ এক্সপো ২০২০ এবং প্যাকটেক বাংলাদেশ ২০২০ শীর্ষক প্রদর্শনীগুলোতে ২৫টি দেশের ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। ৮শটি বুথে ৬শটি স্টল রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচিত্রতা এবং মোড়কজাতকরণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি উপস্থাপন করছে। গত বছর ৫০ হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। এবছর এমনটাই দর্শনার্থী আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনী দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়ী ও মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রদর্শনীতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সংযোগস্থল। সরাসরি রপ্তানিতে এ শিল্পকে বিলিয়ন ডলার অবদান রাখছে। এটা বাড়ানো দরকার। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এ খাত গামেন্টর্সের মতো অবদান রাখবে। এজন্য এখাতে কিছু সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন এ শিল্পের জন্য একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার প্রয়োজন, ব্যাংক ও কাস্টমস ব্যবস্থাপনা আরও সহজীকরণ করতে হবে। এখাতে এ পর্যন্ত কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। তাই এ খাতের শিল্পগুলোকে কমপ্লায়েন্স করে গড়ে তুলতে আরও বরাদ্দের প্রয়োজন বলেও যোগ করেন তিনি।
বিজিএপিএমইএ সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, চারদিন ব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় টেক্সটাইল এবং পোশাকখাত সংশ্লিষ্টদের জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের অসাধারণ এক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রদর্শনীগুলোতে পোশাক তৈরির সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি তৈরি পোশাকশিল্পের প্রধান চ্যালেঞ্জ উৎপাদন, মান, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্য সংযোজন বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে এক সেতুবন্ধনের সৃষ্টি করবে। এ মেলা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কার্যকর একটি মিলন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং বিজিএপিএমইএ সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীগুলো আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
জিসিজি/এএটি