ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদন করে বাংলাদেশের রেকর্ড 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদন করে বাংলাদেশের রেকর্ড 

মৌলভীবাজার: দেশের চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। দেশে ২০১৯ সালে চায়ের মোট উৎপাদন হলো ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি (৯ কোটি ৬০ লাখের কিছু বেশি)। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা এক কোটি ৬০ লাখ কেজি বেশি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ রেকর্ডের তথ্য প্রকাশ করা হয়।  
  
বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত চা উৎপাদন মৌসুমে দেশে চা উৎপাদন হয় ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি।

যা দেশের চা উৎপাদন মৌসুমের (২০১৮) সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। ২০১৮ সালের চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি। এর আগে ২০১৬ সালে সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছিল ৮৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন কেজি।
 
বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, চায়ে সর্বকালের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এর আগে ৮৫ মিলিয়ন কেজির ওপর কখনো যেতে পারেনি। এ আমাদের অনেক বড় রেকর্ড। ২০১৯ সালে নভেম্বরেই ৮৯.৬৫ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ মোট উৎপাদনের ৯৫ শতাংশ চা উৎপন্ন হওয়ায় আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম যে, এবারও রেকর্ড করবে বাংলাদেশে। তাই হলো। এখন আমরা রপ্তানিও করতে পারবো। রপ্তানির জন্য আমরা অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছি।
 
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালের পর এমন একটি অবস্থা হয়েছিল যে, পৃথিবীর অন্য দেশ থেকে চা আমদানি করতে হয়েছে। প্রতিবারই আমরা কনজামশনের নিচে ছিলাম। সরকার প্রচুর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় এবার আমরা কনজামশনের উপরে চলে এসেছি।
 
‘রেকর্ড সাফল্য’ উল্লেখ করে মো. মুনির আহমেদ বলেন, সরকার যথাসময়ে সার দিয়েছে, সুষ্ঠুভাবে চা বাগানগুলোতে তদারকি করেছে, আমরা আমাদের চা বিজ্ঞানীদের নিয়মিত বিভিন্ন বাগানে বাগানে পরিদর্শনে পাঠিয়েছি, অন্য বছরের তুলনায় প্রায় প্রতিটি চা বাগানেই তদারকি অনেকগুণ বাড়ানো হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে এসব নানা বাস্তবমুখী কার্যক্রম কারণেই আজ এ সাফল্য।
 
এবারের সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চা-শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ- জানান বাংলাদেশ চা বোর্ডের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।