বিক্রেতারা একে অপরকে এর জন্য দায়ী করছেন। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন ধানের সরবরাহ কম থাকাকে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় প্রকারভেদে চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১-৩ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পোলাও চালের দর। এ চালটির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা। স্থানীয় বাজারগুলোতে মোটা স্বর্ণা ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়, চিকন স্বর্ণা ২ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় এবং আঠাস ও জিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকা কেজি দরে।
খুচরা ব্যবসায়ী আকবর আলী বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে চালে দাম বেশি। তাই বেশি দামে চাল কেনার কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার অন্যতম পাইকারি ব্যবসায়ী ‘মের্সাস ইনসান ট্রেডাস’র মালিক ইনসান আলী বাংলানিউজকে বলেন, চৈত্র মাসে যে ধানটি ওঠে সে ধানটি শেষের দিকে। ধানের সরবরাহ কম থাকায় আমাদের ধান কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। ফলে চালের দাম গত ২ মাস থেকেই বাড়তির দিকে।
গত ২ মাসে এ পর্যন্ত সর্ব্বোচ্চ বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, গত তিনদিনে দাম বৃদ্ধির হারটি একটু বেশি ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহ আগে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকা। আর চিকন চাল ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া মিনিকেট চালের দাম বস্তাপ্রতি ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। পোলাও এর নতুন চাল কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা এবং পুরাতন পোলাও এর চাল কেজি প্রতি ৯০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসআরএস