বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন প্রকল্পগুলোর ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত ৩৪টি বাফার গোডাউন দেশীয় স্টিল ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মাণ করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। চিনিকলগুলোতে সঠিকভাবে ইক্ষু সরবরাহ করা হচ্ছে কি-না, সেটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারপ্রাইজ ভিজিটের মাধ্যমে তদন্তেরও নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবহৃত জমিতে আগামী অর্থবছরে বাস্তবায়ন শুরুর লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প নিতে হবে। এছাড়া, দেশের সর্বত্র মানসম্মত পণ্য ও কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে সব জেলায় বিএসটিআই ও বিটাকের কার্যালয় সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ১২ লাখ টন সার মজুদ রয়েছে এবং বিদ্যমান গোডাউনগুলর ধারণক্ষমতা তিন লাখ টন। নির্মাণাধীন ১৩টি বাফার গোডাউনের মধ্যে পঞ্চগড় ও চাপাইনবাবগঞ্জের কাজ এ বছরের এপ্রিল এবং শেরপুর, গাইবান্ধা, যশোর ও রাজবাড়ীর গোডাউনের কাজ এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে। অবশিষ্ট গোডাউনগুলোর কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মার্চে।
এছাড়া, চামড়া শিল্প নগরীতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যমান ডাম্প ইয়ার্ড দুই বছর পর ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়বে। দীর্ঘ মেয়াদে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সেখানে নতুন ডাম্প ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ আগামী অর্থবছর থেকে শুরু হবে। একই সঙ্গে ১৪টি সরকারি চিনিকলের জন্য বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে সভায় জানানো হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পরিকল্পনা কমিশন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
জিসিজি/এফএম