ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘জাপানের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
‘জাপানের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে’

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। জাইকাসহ বেশ কিছু সংস্থা বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। জাপানের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশে জাপানের ব্যবসা-বাণিজ্যও আছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিনের মধ্যে জাপান সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা কমিশন এবং জাপানের জাপান ফেয়ার ট্রেড কমিশন এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য জাপানের জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) এবং বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি-এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। জাপানেরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে জাপান থেকে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্যও বাড়ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও পাটজাত পণ্যসহ অন্য পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১১৩১.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ১৮৬৯.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, একই সময়ে আমদানি হয়েছে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস র‌্যাংকিং-এ এগিয়ে যাওয়ায় জাপান খুশি। জাপান আশা করে বাংলাদেশের জিডিপি ডবল ডিজিজে উন্নীত হবে। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। বাংলাদেশ চাইলে জাপানের সঙ্গে এফটিএ করতে পারে। তৈরি পোশাক ও ওষুধ জাপানে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে হালকা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বেশ ভালো করছে, জাপান এ খাতে সহায়তা দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।