বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সন্তোষজনক আলোচনায় বাণিজ্য সচল হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে ওই পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে জানান, দু’দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়েছে। আর ১০ কোটি টাকার বেশি লোকশান হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী খান বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত আগের নিয়মে দুই পাশের স্টাফ সদস্যরা কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াত করবে। এর মধ্যে দুই পক্ষ আর একবার আলোচনায় বসে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন, তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াতকারী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে স্বাভাবিক ছিল দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল।
জানা গেছে, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখ্যযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।
প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। একদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
** ** দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ বেনাপোলের আমদানি-রপ্তানি
** পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এসআরএস