শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, গ্রীণ রোড, হাতিরপুল বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম বাড়লেও বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
অন্যদিকে দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে এসব বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, শিম (সাদা) ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি-ফুলকপিতে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে সব ধরনের শাকের। বাজারে প্রতি আটি (মোড়া) কচু শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, লাল শাক ১২ থেকে ১৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা মোড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে মাছ ও ডিমের বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগির। এসব বাজারে প্রতি কেজি বয়লার ১৪০ টাকা, লেয়ার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২০০ টাকা, সোনালি ২৮০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে মুরগির দাম বাড়লেও অন্য মাংসের দাম রয়েছে আগের মতোই। এসব বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দাম আগের নিম্নমুখী দর রয়েছে মাছের বাজারে। বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকায়। এছাড়া ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাচকি ৩০০ টাকা কেজি, মলা ৩৫০টাকা, ছোট পুটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেজে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল ও মসলার বাজার। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেল। বর্তমানে সরিষার তেল খোলা বাজারে ২০০ টাকা লিটার বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে প্রতি বস্তা চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ হাজার থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরানো) ২৫০০ থেকে ২৫৫০ টাকা, আটাশ চাল ১৮৫০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মসলা। প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৫০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক/দেড় মাসে আগে এলাচ বিক্রি হয়েছিলো ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে জয়ত্রী বিক্রি হচ্চে ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকা কেজি দরে। এর আগে জয়ত্রী বিক্রি হয়েছিল ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে। জায়ফল গত দেড় মাসে দুই গুন বেড়ে বর্তমান বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, এর আগে জায়ফল বিক্রি হয়েছিলো ৪০০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি দরে।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে। বিক্রেতারা বলছেন, অনেক সবজির সিজন এখন শেষ। সেসব সবজি কিছুটা বাড়তি রয়েছে। তবে যেসব সবজির সিজন আছে সেগুলোর দাম কমছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, সবজির সিজন বড় ইস্যু হতে পারে না। বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই, তবুও কিছু সবজির দাম বাড়ার কারণ নেই।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আমান বলেন, আমাদের অনেক সবজির সিজন শেষ হয়ে আসছে এ কারণে এখন ক্রমেই দাম বাড়তি হবে। তবে যেসব সবজির সিজন শেষ হয়নি সেগুলোর দাম আগের মতোই আছে।
তবে এ সবজি বিক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের ক্রেতা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিজন ধরে সবজির দাম ঠিক হয় না। এখন বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই এর পরও কিছু সবজির দাম বাড়তি হবার কারণ দেখি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
ইএআর/এমএমএস