এ অভিযান বাস্তবায়ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা, মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলেরা শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে জেলার মেঘনা উপকূলীয় রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন।
রোববার (১ মার্চ) সকালে জেলার রামগতি কমলনগর রায়পুর ও সদর উপজেলায় মেঘনা উপকূলীয় এলাকা থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীতে কোনো নৌকা নেই। মাছ ঘাটে নেই কোনো সরগরম। বাজারে নদীর কোনো মাছ নেই। জেলেরা অলস সময় পার করছেন।
এদিকে নদীতে যাতে জেলেরা শিকারে যেতে না পারে সেজন্য কোস্টগাড টহল দিচ্ছে। মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।
মেঘনাপাড়ের জেলেরা বলছেন, নদীতে মাছ শিকারই তাদের একমাত্র পেশা। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা সময় তারা নদীতে যেতে পারেন না। এসময় তাদের সংসারে অভাব-অনটনের অন্ত থাকে না। মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা; কিন্তু যথা সময়ের মধ্যে তা বিতরণ করা হয় না যে, কারণে তাদের দুঃখ-কষ্টে দিন যায়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকা মাছের অভয়াশ্রম। মার্চ-এপ্রিল (দুই মাস) অভয়াশ্রমে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিচরণ করবে ও বেড়ে উঠবে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো বাধা ছাড়াই মাছের উৎপাদন বাড়তে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত (দুই মাস) মেঘনার অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে লিপলেট বিতরণ, মাইকিং ও জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। রায়পুর ও কমলনগরে কোস্টগার্ডের অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। এছাড়া মৎস্য বিভাগ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। নদীতে যাতে কোনো জেলে মাছ শিকার করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন আমন্য করে মাছ শিকার করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। এসময়টাতে জেলার প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
এসআর/এএটি