ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে সঞ্চয় ব্যাংকে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরাই যাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। কালো টাকার বিনিয়োগও যেন বন্ধ হয়।
প্রাথমিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত জেনারেল পোস্ট অফিসে (জিপিও) চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের জেলা সদরের প্রধান ডাকঘরে এ সেবা চালু করা হবে।
সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শক্তিশালী করণ প্রকল্পের আওতায় অর্থবিভাগে পাবলিক এক্সপেনডিচার ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেনদেনিং প্রোগ্রামের রোববার (০১ মার্চ) জেনারেল পোস্ট অফিসে সঞ্চয় ব্যাংকের অনলাইন কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে।
জান্নাত আফসারীর মেয়াদী হিসাব ও ইশরাত জাহানের সাধারণ হিসাব খোলার মাধ্যমে জেনারেল পোস্ট অফিস ঢাকায় পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা জেনারেল পোস্ট অফিসের সিনিয়র পোস্ট মাস্টার খন্দকার শাহনুর সাব্বির।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্র, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সামসুন্নাহার বেগম, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জাহেদা সাত্তার, মো. হারুনুর রশিদ ও সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শক্তিশালী করণ প্রকল্প পরিচালক হাবীবুর রহমান।
নতুন এ ডাটাবেজ চালুর ফলে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ই-টিআইএন সনদ জমা দিতে হবে। ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত নগদ টাকা সঞ্চয় ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে। দুই লাখ টাকার বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। দিতে হবে সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর।
ডাক অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে যারা সঞ্চয় ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছেন তাদেরও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ই-টিআইএন সনদ জমা দিতে হবে। এ উদ্যোগের ফলে সঞ্চয় ব্যাংকে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরাই আসবে। একই সঙ্গে কালোটাকা বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করা যাবে।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার কমানো হলেও সমালোচনার মুখে ২৬ ফেব্রুয়ারি সুদের হার আগের অবস্থানেই থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে অটোমেশন প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বাধ্যতামূলক দিতে হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
এ বিষয়ে ঢাকা জেনারেল পোস্ট অফিসের সিনিয়র পোস্টমাস্টার খন্দকার শাহনুর সাব্বির বলেন, সঞ্চয়পত্রের মতো ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকেও টাকা জমানোর প্রক্রিয়া অটোমেশন করা হচ্ছে। পাইলট প্রকল্পে দু’টি হিসাব খোলার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রধান ডাকঘরগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে জমা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ হিসাবে জমা হয়েছে ২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। মেয়াদী হিসাবে জমার পরিমাণ ১৩ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
এসই/এফএম