চলতি বছর এ অঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও হঠাৎ এ শিলাবৃষ্টিতে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। ১৫/২০ দিন পরই মাঠ ভরা পেঁয়াজ ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ভোরে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামে আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ বছর উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
শিলার আঘাতে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পেঁয়াজ গাছ। পেঁয়াজ ছাড়াও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠে নেমেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের কৃষক আলমগীর মোল্যা বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ গাছ নষ্ট হয়েছে। এতে তার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শহীদনগর ইউনিয়নের কৃষক ওবায়দুর জানান, তার দানা পেঁয়াজ ও চারা পেঁয়াজের গাছ পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে।
কৃষক নজির মাতুব্বর বলেন, আমার তিন বিঘা জমির গম, মসুর, কলাই সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকার আমের মুকুল ঝরে পড়েছে, গমের গাছ হেলে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক বাড়ির টিনের চালা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন জানান, হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে রবি শস্যসহ উপজেলার প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
আরএ