সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুরে অবস্থিত ননস্টিক তৈজসপত্র ও প্রেসার কুকার তৈরির কারখানা ‘রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ’ প্রায় বন্ধের উপক্রম। ইতোমধ্যে কারখানাটির তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।
নোয়াহ্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যে কাঁচামাল তা চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। আমদানিকৃত ওইসব কাঁচামালের স্টক ফুরিয়ে যেতে বসেছে। নতুন করে আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ফলে কারখানাটির ১৮টি ইউনিটের তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুরের আরও চারটি তৈজসপত্র কারখানা কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরফলে ওই খাতে চার হাজার মানুষ বেকার হতে বসেছে।
তৈজসপত্র ছাড়াও সৈয়দপুরের দুটি প্লাইউড কারখানাও কাঁচামাল সঙ্কটে পড়েছে। এসব কারখানার কাঁচামালও চীন থেকে আমদানি করা হয়।
সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের আহমেদ প্লাইউড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, কাঁচামালের অভাবে যেকোনো সময় আমাদের কারখানাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি মারুফ জামান কোয়েল বাংলানিউজকে জানান, কেবল সৈয়দপুরের কারখানাগুলো নয় করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে উত্তরা ইপিজেডেও। এখানকার অনেক কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
এনটি