মঙ্গলবার (১০ মার্চ) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে এসএমই পণ্যের বিপণন প্রসরণ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রাশেদুল ইসলাম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্য আবুল কালাম ভূঁইয়া।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, দেশে বর্তমানে ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ই-কমার্স সাইট আছে মাত্র ৭০০টি এবং এবং ই-কর্মাস পেজ আছে প্রায় ৫ হাজার। অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার করে নিজেদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজারজাতকরণে এগিয়ে যেতে পারেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা।
এছাড়া ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এসএমই খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক অপর এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে অষ্ট্রেলিয়ার কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি’র) ৫টি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জোর দেয়া হলে তা এসএমই খাতের এসএমই খাতের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মিজ জুয়েনা আজিজ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৭০-৮০ ভাগ এসএমই খাতে। তাই কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচনের মতো লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে জোর দিতে এসএমই খাতের উন্নয়নের দিকে।
উল্লেখ্য, ৮ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা চলবে ১৩ মার্চ ২০২০, শুক্রবার পর্যন্ত। শতভাগ দেশী পণ্যের এই মেলায় ৩০৯টি স্টলে নিজেদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন ২৯৬ জন উদ্যোক্তা। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা কোনো প্রবেশ ফি ছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মেলার পাশাপাশি সকাল দশটায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন এবং বিকেল তিনটায় হালকা প্রকৌশল বর্ষপণ্য ২০২০ বিষয়ে আলাদা দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৯ ঘন্টা, মার্চ ১১, ২০২০
জিসিজি/এমএইচএম