অন্যদিকে, আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস, চাল, ডাল, তেল। অপরিবর্তিত আছে মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজার।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাজরানীর রামপুরা, মালিবাগ, রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার এবং ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, সিম ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, উস্তি ১২০ টাকা, বেগুন ৬০-১০০ টাকা, গাজর বিক্রি ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, বড় কচু ৫০ টাকা, বিট ৩০-৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, সিমের বিচি ১০০-১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। বাজারে প্রতি আটি (মোড়া) কচু শাক ১০ টাকা, লাল শাক ১০-১৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
১০ বেড়ে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, জালি ৫০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি-ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকা, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত আছে মুরগি ও ডিমের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ টাকা, সোনালি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। লাল ডিম প্রতি ডজন ৯০-৯৫ টাকা, দেশি ১৬০ টাকা, সোনালী ১৪০, হাঁস ১৩০-১৪০, কোয়েল প্রতি ১০০ পিস ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মাছ। বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া প্রতিকেজি কাচকি ৩৫০ টাকা কেজি, মলা ৩৫০টাকা, ছোট পুটি (তাজা) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০-৬৫০ টাকা, বাগদা ৪৫০-৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেজে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, কৈ ১৮০-২০০ টাকা, কাতল ২২০-৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম কমেছে পেঁয়াজ ও রসুনের। এসব বাজারে কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজিদরে। এক সপ্তাহ আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৭০-৮০ টাকা কেজিদরে। এছাড়া দাম কমে প্রতিকেজি চায়না মোটা পেঁয়াজ ৬০, রসুন দেশি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চায়না ১৪০-১৫০, তিন কোয়া রসুন ১৮০০, আদা ১৩০-১৪০ টাকা কেজিদরে।
অন্যদিকে, আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল চাল ও মসলার বাজার। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেল। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
এসব বাজারে বস্তাপ্রতি ২৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিবস্তা চিনিগুড়া চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ হাজার থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরানো) ২৫০০-২৫৫০ টাকা, আটাশ চাল ১৮৫০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকা থেকে তিনহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৫০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক/দেড় মাসে আগে এলাচ বিক্রি হয়েছিলো ২৭০০-৩০০০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে জয়ত্রী বিক্রি হচ্চে ৩৫০০-৩৬০০ টাকা কেজি দরে। এর আগে, জয়ত্রী বিক্রি হয়েছিলো ১৭০০-১৮০০ টাকা কেজি দরে।
জায়ফল গত দেড় মাসে দুইগুন বেড়ে বর্তমান বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। এর আগে, জায়ফল বিক্রি হয়েছিল ৪০০-৪৬০ টাকা কেজি দরে।
দর বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রয়েছে ভিন্নমত। বিক্রেতারা বলছেন পণ্যের সরবরাহ কম হলে দাম বেড়ে যায়। ইমরান নামে শান্তিনগর বাজারের সবজি বাংলানিউজকে বলেন, এখন অনেক সবজির সিজন না হওয়ায় দাম বেড়েছে তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব রয়েছে।
তানিশা নামে এ বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, রমজানকে সামনে রেখে বিক্রেতারা এখন সব কিছুর দাম বাড়তি রাখছেন। আগের সপ্তাহে মাংসের দাম বাড়লো সেসব দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। এখন সবজির বাড়তি দাম। বাজার মনিটরিং করা না হলে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
ইএআর/এনটি