সোমবার (১৬ মার্চ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে বৈঠকে এমন তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা প্রধান হিতোশি হিরাতা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী আবার সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।
এমএ মান্নান বলেন, বর্তমানে জাইকা ঋণে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অবস্থা ভালো। ২০২১ সালেই মেট্রোরেল প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। করোনা ভাইরাস এখনও বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে আঘাত হানেনি।
তিনি বলেন, 'মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাইকার ঋণ ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেবে দুই হাজার ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে সরকার। প্রকল্পটি অনুমোদনের ফলে জাইকা প্রতিনিধি আমাকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছিল। মাতারবাড়িতে চতুর্থ বৃহত্তম বন্দর নির্মাণ করা হবে। বন্দরটি শতবছরের জন্য হবে। এই বন্দর দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, জাইকা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। পায়রাবন্দরের সঙ্গে এটা তুলনা করলে হবে না।
করনো ভাইরাস প্রসঙ্গে অন্যান্য প্রকল্পে ক্ষতি হচ্ছে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনা আমাদের চলমান প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, এটা অস্বীকার করলে চলবে না। কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মাসেতু প্রকল্পেও সমস্যা করছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তুলনায় আমাদের ক্ষতি কম হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে এমএ মান্নান বলেন, আমাদের এখন প্রধান কাজ সুরক্ষা দেওয়া। সরকারের ৯৫ শতাংশ মনোনিবেশ এখন করোনা ভাইরাস থেকে সবাইকে রক্ষা করা নিয়ে। বর্তমানে চীন দ্বিগুণ হারে কাজ করছে। করোনা ভাইরাস চলে গেলে আমাদেরও দ্বিগুণ হারে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমআইএস/টিএ