তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। এরপরও যদি ঘাটতি দেখা দেয় প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
বুধবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলমান বাজার মনিটরিং বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে, সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জন্য চাল, গমসহ সব দানাদার খাদ্যশস্য নিয়ে ভোক্তারা যেন কোনো ধরনের আতঙ্কিত না হয়। পাশাপাশি কোনো ব্যবসায়ী বা মিলার এটাকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে কোনো ক্রমেই সরকার ও খাদ্য মন্ত্রণালয় চুপচাপ বসে থাকবে না। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে এবং ওএমএস এর মাধ্যমে খাদ্য মজুদের জন্য আমাদের ডিলারদের চিঠি দিয়েছি ইত্যোমধ্যে। তাই ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই মরণব্যাধি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। কাজেই আমাদের ব্যবসায়ী ও মিলারদের উচিৎ সেবা দান করা।
তিনি বলেন, সামনে রোজা রয়েছে। রোজাকে পুঁজি করে যেন কোনো রকমের ব্যবসা করতে না পারে সে ব্যপারে আমরা সচেষ্ট আছি। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
‘আমারা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। আমাদের ২৫টি টিম মাঠে কাজ করছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়ানো হবে। এই মনিটরিং শুধু খাদ্য মন্ত্রণালয় না বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। কোনোভাবেই করোনা নিয়ে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। ’
মজুত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের চালের মজুত ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন। গতবছর এসময়ে ছিল ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বার্তা তৈরি করেছি। সেটা বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে পাঠিয়ে দেবো। আর ব্যবসায়ীদের অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এক মাস ১০ দিন পর ধান পাবো। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে। প্রয়োজন হলে আমরা চালও নিয়ে আসবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি/