জানা যায়, দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ২৫০-৩০০ মার্কিন ডলারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও এখনো জমে উঠেনি হিলির পাইকারি বাজার।
পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নাজমমুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট না পেলেও মার্চের আগে থেকে পাওয়া তিন হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের আইপির বিপরীতে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আইপি না পাওয়ায় বন্দরের সিংহভাগ আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছেন না।
এরফলে, সিন্ডিকেটের বেড়াজালে কমছে না পেঁয়াজের দাম। গুটিকয়েক আমদানিকারককে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দেওয়ায় তারা ২২-২৩ টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করছে ২৮-৩২ টাকায়। এভাবে চললে দাম আরও বাড়তে পারে।
বন্দরের তথ্য মতে, গত তিনদিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৭৫ ট্রাকে ১৩৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির আইপি পাওয়া গেছে তা দিয়ে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব হবে। তারপর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রাখতে আইপি বা ইমপোর্ট পারমিটের জাটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এনটি