রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশের সময় থার্মাল স্ক্যানারে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। হাত হাইজেনিক করার জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মির্জা ইয়াহিয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশে নতুন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অন্ন-বস্ত্রের মতো মৌলিক চাহিদা তো পূরণ করতেই হবে। তাই লেনদেন চালু থাকবে। আমরা যারা ব্যাংকিং সেক্টরে আছি তাদের কর্মকাণ্ড থামানোর উপায় নেই। কিন্তু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতেই হবে। এ বিষয়ে সিটি ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৮ মার্চ মিটিং আয়োজন করেন সিটি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তিনি একটি বিশেষ কমিটি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে ব্যাংকের সব শাখা মনিটর করা হবে।
মির্জা ইয়াহিয়া বলেন, সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আপাতত গেস্ট আসা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোনে ও ভিডিওকলে তাদের সঙ্গে কাজ সারতে হবে। একান্তই যদি কাউকে অফিসে আনতে হয়, তবে তার শারীরিক পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হবে।
অন্যদিকে সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের সমস্ত শাখা অফিসে ফিঙ্গার ইমপ্রেশন সিস্টেম হাজিরা ইনেকটিভ করে, আইডি-কার্ড বেসড হাজিরা চালু করা হয়েছে। ক্যাশ, ফ্রন্ট ডেস্ক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব কর্মীর মুখে মাস্ক থাকতে হবে।
তাদের সবাইকে গ্লাভস পরে কাজ করতে হবে। সবমিলিয়ে সিটি ব্যাংক পরিবার তাদের সর্বস্তরের কর্মী ও গ্রাহকের সুরক্ষায় শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবাই এতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করবো।
সিটি ব্যাংক জানায়, এই সময় নগদ টাকা ব্যবহারের চেয়ে কার্ডে লেনদেন তুলনামূলক ভালো। সিটি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারকারীরা এ বিষয়েও আগ্রহী হবেন। সবাই সতর্ক থাকলে করোনা ভাইরাস অবশ্যই একটা সময় পরাজিত হবে। এজন্য আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। হাইজেনিক থাকতে হবে সবাইকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এসই/জেআইএম