ঢাকা: ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। জানাতে হবে যাওয়ার কারণ, কতদিন থাকবেন এবং সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য যাবেন কি-না।
ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে ও আর্থিক ক্ষতি কমাতে সোমবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তাদের দায়-দায়িত্বের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর সুষ্ঠু পরিপালনার্থে ব্যাংক-কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংক-কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে কিংবা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্খিত নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান যতদূর সম্ভব পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজন হলে তথ্য দাখিল করে ১৫ দিন আগে অনুমতি নিতে হবে।
এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের অনুলিপি; ভ্রমণের প্রস্তাবিত সময় (যাতায়াত সময়সহ); ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং দেশের বাইরে অবস্থানকালীন ঠিকানা (একাধিক দেশ হলে প্রত্যেক দেশের নাম, সম্ভাব্য অবস্থানের মেয়াদ ও ঠিকানা) দিতে হবে।
ভ্রমণের আবেদন অনুমোদিত হলে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতকালীন তার স্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী, দাপ্তরিক ফোন, সেল ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস প্রধান নির্বাহীর কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসই/ওএইচ/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।