সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত এ লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়। এতে বেনাপোল বন্দরে অচলবস্থা নেমে এসেছে।
বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকরা বলেন,পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ আমদানি-রপ্তানি বন্ধে তারা বেকায়দায় পড়েছেন। এখন পণ্য নিয়ে পাঁচ দিন তাদের বন্দরে থাকতে হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, যারা ভারতে গিয়েছিলেন এবং যারা বাংলাদেশে এসেছিলেন তারাই কেবল ঘরে ফিরছেন। দুই দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারিতে নতুন করে সাধারণ যাত্রীদের দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে কারফিউ শেষ হতেই হঠাৎ করে পাঁচ দিনের লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে। এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে করে বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
এছাড়া ভারতের পেট্রাপোল বন্দরেও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে ওষুধ, শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার কর্মকর্তা নাসিদুল হক বলেন, ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পাঁচ দিনের লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। এতে করে ভারতের কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর থেকেও কোনো রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে যেতে পারছে না। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ভারতের সাথে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস সচল রয়েছে। ২৮ মার্চ থেকে পূনরায় আমদানি-রফতানি শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
আরএ