দেশের ৪৩টি জেলার ৮টি পৌরসভা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণসহ ১২টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এসব প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে।
রোববার (২২ মার্চ) থেকে মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক শিষ্টাচার পালনের মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে সংস্থা দু’টি।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ব্র্যাক সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় গৃহীত জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ওরস্যালাইনের প্রসার, শিশুর জীবনরক্ষাকারী টিকাদান কার্যক্রম, শরণার্থী সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ও দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্র্যাকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
‘সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সমন্বিত উদ্যোগ নিচ্ছি। এক্ষেত্রে যে-কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফলপ্রসূ কাজ করতে আমরা আগ্রহী। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস। ’
ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও কেদার লেলে বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য ইতোমধ্যেই নানান পদক্ষেপ নিয়েছে ইউলিভার। এক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপই আমরা অত্যন্ত সুচিন্তিত ও দ্রুততার সঙ্গে নিয়েছি। প্রাণপণ চেষ্টা করছি সম্মিলিতভাবে সব ধরনের সাহায্য নিশ্চিত করতে। আমরা লাইফবয় এর মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন পার্টনারদের নিয়ে প্রতিনিয়ত সবার কাছে পরিষ্কারভাবে হাত ধোয়ার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।
‘এখন ইউনিলিভার ও ব্র্যাক একসাঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রান্তিক ও এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন জনগণের কাছে সচেনতনতামূলক স্বাস্থ্য বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। মানবজাতিকে এই অদৃশ্য ভাইরাস থেকে রক্ষা করার প্রয়াসে এখন আমাদের সুশৃঙ্খলার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ’
নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক ও ইউনিলিভার। ব্র্যাকের মাঠপর্যায়ের ৫০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং নগর উন্নয়ন কর্মসূচি, অতি দরিদ্র কর্মসূচি, মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচিসহ সব উন্নয়ন কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মীদের ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জরুরি ভিত্তিতে সংগঠিত করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
এমআইএইচ/এএ