রোববার (২৯ মার্চ) এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এনবিআরের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর ইমেইলের মাধ্যমে এই বাজেট প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়।
জাতীয় বাজেট প্রণয়নে বিবেচনার জন্য তামাকপণ্যে করারোপের বিষয়ে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তন, সিগারেটে ২টি মূল্যস্তরসহ প্রস্তাবিত কর ও দাম বৃদ্ধির দাবি উল্লেখযোগ্য।
এই দাবি বাস্তবায়ন করা হলে ৬ লাখ অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে, যা সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তামাকাসক্ত ফুসফুস করোনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তামাকের সহজলভ্যতাই এর প্রধান কারণ। স্বল্প দামে তামাকপণ্য কেনার সুযোগ এবং ত্রুটিপূর্ণ করকাঠামো বিশেষ করে সিগারেটে ৪টি মূল্যস্তর থাকায় তামাকের ব্যবহার হ্রাসে কর ও মূল্যপদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। তামাকের দাম বেশি হলে তরুণ জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার শুরু করতে নিরৎসাহিত হয় এবং তামাকাসক্তরাও বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া দেশে তামাকের ব্যবহার দ্রুতহারে কমানো এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাকবিরোধী মিডিয়া জোট আত্মার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এসএমএকে/এএটি