ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও অস্থির বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২০
সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও অস্থির বাজার

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আতঙ্কের মধ্যেই বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। 

বুধবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

দেখা যায়, করোনা আতঙ্কে বাজারে ক্রেতা কম।

এরই মধ্যে যেসব ক্রেতা আসছেন তারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে বাজার করছেন। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ ও সবজির  দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।  

বুধবার নতুন বাজার কাঁচাবাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বরবটি প্রতি কেজি ৬০, পটল ৬০, টমেটো ৩০, করলা ৪০, বেগুন ৬০, শিম ৪০, পেঁপে ৩০, কচুরলতি ৬০, কচুরমুখি ৫০, আলু ২৫, গাজর ৩০, মিষ্টি কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০, লাউ ৫০ (প্রতি পিস), ডিম প্রতি পিস ১০, ফুলকপি ৫০ ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ ও বয়লার মুরগি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৯০০-১২০০, দেশি রুই ২৫০-৩০০, কোরাল মাছ প্রতি কেজি ৪০০, টেংরা ৪০০, শিং মাছ ২৫০, তেলাপিয়া ১৬০ ও প্রতি কেজি চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কিছুটা দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু ক্রেতা কম।

নতুন  বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিবহন খরচ কিছুটা বাড়ায় দামও একটু বেড়েছে।

এ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা রাহাত সরকার  বলেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

আরেক বিক্রেতা মফিজ মিয়া বলেন, প্রতিটি পণ্যে দাম কিছুটা বেড়েছে। ক্রেতা বাজারে কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
টিএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।