শ্রমিক।
ঢাকা: রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্মনিবন্ধন সনদপত্র দিয়েও বেতন-ভাতা নিতে পারবেন। এর আগে বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতা প্রদান কার্যক্রম সহজতর করার লক্ষ্যে এবং আয়করযোগ্য শ্রমিককর্মচারীদের আয়কর ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য শ্রমিক-কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বিশেষ বিবেচনায় তাদের জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।
ঋণগ্রহণে ইচ্ছুক শিল্প-প্রতিষ্ঠান যে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেবে সে ব্যাংকের কাছে ওই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে। কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান একাধিক ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিলে সেক্ষেত্রে ওই বেতন-ভাতার বিপরীতে ঋণের জন্য সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে শিল্প-প্রতিষ্ঠান চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সমন্বয়ে সিন্ডিকেটেড ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে। ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক শিল্প-প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ আবেদনের সঙ্গে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন হতে কর্তনযোগ্য আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা পৃথকভাবে উল্লেখসহ মোট বেতন-ভাতা হতে আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট বেতন-ভাতা উল্লেখ করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পূরণ করে ঋণ আবেদনের সঙ্গে ব্যাংকে দাখিল করবে। শিল্প-প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক কর্তনযোগ্য আয়কর ও ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট বেতন-ভাতা শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে সরাসরি স্থানান্তর করবে। পরবর্তী সময়ে ব্যাংক নিজ উদ্যোগে কর্তনকৃত আয়কর নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা করে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে চালানের কপি (প্রয়োজনে আয়কর প্রদানের প্রত্যয়নপত্রসহ) সরবরাহ করবে এবং ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের এতদসংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানান্তর করবে। এক্ষেত্রে নগদে কোনো লেনদেন করা যাবে না। এ তহবিল থেকে কোনোভাবেই শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না। আলোচ্য তহবিল থেকে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে প্রতিটি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক তাদের প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত ফরমে শ্রমিক-কর্মচারীদের একটি ‘ডাটা বেইজ’ প্রস্তত করবে।
এর আগে ৬ এপ্রিল সচল রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব খোলার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই টাকা দিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২০
এসই/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।