পর্যায়ক্রমে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার তাগিদ দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (১২ এপ্রিল) রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে বহুল ব্যবহৃত হয় এ রকম পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বৃহৎ ২০টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে বিএসটিআই।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: প্রাণ ফুডস লিমিটেড, শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (টিকে গ্রুপ), আকিজ ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইনারি লি. (টিকে গ্রুপ), সিটি গ্রুপ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট, তানভীর ফুডস লিমিটেড (মেঘনা গ্রুপ), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, নিউজিল্যান্ড ডেইরি লিমিটেড, এসিআই গ্রুপ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবুল খায়ের গ্রুপ, স্কয়ার ফুডস লিমিটেড, বাংলাদেশ সুপার শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিডি ফুডস লিমিটেড, সুইস বেকারি ও সজিব করপোরেশন।
রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে বহুল ব্যবহৃত হয় এ রকম পণ্য যেমন: ড্রিংকিং ওয়াটার/মিনারেল ওয়াটার, সফট্ ড্রিংকস পাউডার, ফ্রুট সিরাপ, ফ্রুট জুস, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ঘি, লাচ্ছা সেমাই, নুডুলস, পাস্তুরিত তরল দুধ, আইসক্রিম, মুড়ি, ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল, ফর্টিফাইড সানফ্লাওয়ার অয়েল, ফর্টিফাইড রাইস ব্রান অয়েলসহ ১৮১টি পণ্য এর অন্তর্ভুক্ত।
চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী গুণগত মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই থেকে এসব পণ্যের অনুকূলে মান সনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রমজান মাসে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিএসটিআই থেকে উপরে বর্ণিত খাদ্যপণ্যের অনুকূলে গুণগত মান সনদ (সিএম লাইসেন্স) গ্রহণ না করেই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে এসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে অবৈধভাবে বিক্রি এবং বিতরণ করে, যা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিএসটিআই’র ভ্রাম্যমাণ আদালত/সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
জিসিজি/এএ