কঠিন এই পরিস্থিতিতে যখন বিভিন্ন এলাকার জেনারেল স্টোরগুলোতে বা অনলাইনে অর্ডার করেও পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাবার, তখন বিক্রয়ের গ্রাহকরা পাবেন ১৫০ এরও বেশি স্টোর থেকে চার হজারেরও বেশি বিজ্ঞাপণের মধ্য থেকে প্রতিদিনের ব্যবহার্য সামগ্রী কেনার সুযোগ। এতে করে ক্রেতারা যেমন ঘরে বসে তাদের নিজ নিজ এলাকার সুপার স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারবেন।
অপরদিকে বিক্রেতারাও দোকান বন্ধ থাকলেও নিজের অনলাইন স্টোর খুলে বিজ্ঞাপণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা এবং সর্বোপরি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারবেন।
এই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলোর মধ্যে থাকছে খাবার সামগ্রী যেমন চাল, ডাল, তেল, ডিম ইত্যাদি, মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজারের মতো স্বাস্থ্যসেবার পণ্য, ঘর পরিষ্কারের জন্য গৃহস্থালি সামগ্রী, শিশুদের পণ্য যেমন দুধ, ফর্মুলা ডায়াপার ইত্যাদি, তাজা ফল ও সবজি, টাটকা মাছ ও মাংস ইত্যাদি ৭টি সাব-ক্যাটাগরি।
নতুন এই ক্যাটাগরি প্রসঙ্গে বিক্রয় ডট কমের কো-ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঈশিতা শারমিন বলেন, দেশের এই সংকটের মুহূর্তে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় পক্ষের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই প্রয়াস। ক্লাসিফাইড হিসেবে আমরা দেশব্যাপী বিভিন্ন বিক্রেতাদের সুযোগ করে দিচ্ছি যাতে তারা বিক্রয়ের ফ্রিতে শপ খোলার মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন এবং গ্রাহকরাও তার নিজ নিজ লোকেশন বাছাই করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিতে পারবেন। ইতোমধ্যেই ১৫০ এরও বেশি মেম্বার আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ক্রেতারা বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ব্যবহার্য জিনিস নিশ্চিন্তেই পেয়ে যাবেন নিজেদের দোরগোড়ায়। সুতরাং নিরাপদভাবেই কেনা-বেচা হবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা, প্যাকেজ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা এবং নগদ অর্থের পরিবর্তে অনলাইন বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেন তিনি।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিক্রয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এএটি