ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাই এ ভাতা পাবেন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকে স্বশরীরে গমণপূর্বক ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন তারা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রাপ্য হবেন। সাধারণ ছুটিকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে তা পূর্ণমাস হিসেবে গণ্য হবে। তবে ১০ কার্যদিবসের কম স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে সেক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ভাতা প্রাপ্য হবেন। ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের স্ব স্ব মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ মাসিক বিশেষ প্রণোদনা ভাতা হিসেবে প্রাপ্য হবেন। যেসব অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতন আলাদাভাবে নির্ধারিত নেই তারা মাসিক মোট বেতন-ভাতার ৬৫ শতাংশ মাসিক বিশেষ প্রণোদনা ভাতা হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
তবে সবক্ষেত্রেই এ বিশেষ প্রণোদনা ভাতার পরিমাণ মাসিক ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা হবে। সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার তারিখ থেকে মাস গণনা শুরু হবে। প্রতি ৩০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় নতুন মাস গণনা শুরু হবে। এ নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ব্যাংকিং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যারা তাদের জীবন ও পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এসই/আরবি/