সোমবার (১৩ এপ্রিল) ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক। তাতে করোনার মুখে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) কমে ২ থেকে ৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এ পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের জিডিপি কমে ২ থেকে ৩ শতাংশ দাঁড়াবে এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে তো ৮ মাসের তথ্য আছেই। সেগুলো যাচাই করে, কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনোটাই মনে করি না। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বের মতো আমাদের জিডিপিও কমবে। তবে এতোটা কমবে না। এ বছরও আমরা কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি অর্জন করতে সক্ষম হবো।
‘কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থবছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। মার্চ থেকে শুরু করে বাকি আছে ৪ মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয়, তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি, তা ৬ শতাংশের বেশিই হবে। ’
এরপরপরই দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির চেয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রধিকার এখন দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করা, তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। দেশের মানুষের খাবারের যোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের মৌলিক কাজ। আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো- কৃষি, শিল্প ও সেবা।
‘আমাদের কৃষিখাতে করোনা ভাইরাসের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয়, তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্পখাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে, কিন্তু এতোটা কমবে না। ’
সবশেষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষকে করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানান অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এমআইএস/এইচজে