সোমবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার প্যাকেজ থেকে ঋণ বিতরণের নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব দীর্ঘায়িত হলে ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদন হ্রাসসহ বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকসমূহের মোট লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৬০ ভাগ শস্য ও ফসল খাতে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে। সে হিসেবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকসমূহের জন্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শস্য ও ফসল খাতে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হবে। শস্য ও ফসল খাতে চলমান ঋণপ্রবাহ পর্যাপ্ত থাকার দরুন এ খাত অপেক্ষা কৃষির চলতি মুলধন ভিত্তিক খাতসমূহে অধিকতর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য এ খাতগুলিতে ঋণের প্রবাহ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
চলতি মূলধন ভিত্তিক কৃষির অন্যান্য খাতে (হর্টিকালচার অর্থাৎ মৌসুম ভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রানিসম্পদ খাত) পর্যাপ্ত অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে দেশের সার্বিক কৃষিখাত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। সে প্রেক্ষিতে উক্ত খাতসমূহের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন স্কীম গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে, কোনো একক খাতে ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ঋণের ৩০ শতাংশের অধিক ঋণ বিতরণ করতে পারবেনা। এছাড়াও, যে সব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত কৃষিপন্য ক্রয়পূর্বক সরাসরি বিক্রয় করে থাকে তাদেরকেও এ স্কীমের আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসই/এমআরএ