বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে আশুলিয়ার ১০টি কারখানার সামনে বকেয়া বেতন ও ছাটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা।
কারখানাগুলোর মধ্যে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকায় 'ক্যাথে অ্যাপারেলস লিমিটেড' নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত তিন মাসের বেতন পাবে।
ওই কারখানার শ্রমিক রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কাজ করি, কিন্তু বেতন পাই না। গত তিন মাস যাবত অনেক শ্রমিককে বেতন দেওয়া হয় না। আমি নিজেও দুই মাসের বেতন পাবো। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতারা মিলে কয়েকবার আমাদের বেতন দেওয়ার তারিখ দিলেও তারা বেতন দেননি। আমাদের এখন ঘরে ভাত নেই, তাই বাধ্য হয়ে বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।
এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক মোয়াজ্জেমের মোবাইলফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কারখানার ম্যানেজার জাহিদ হাসান চার মাসের বেতন পাবেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বেতন দেওয়ার মতো মন-মানসিকতা কোনোটি-ই নেই কারখানার মালিকের। বকেয়া টাকা না পেয়ে শ্রমিকরা যে না খেয়ে মরছে, সেটা যেন তার দেখার দরকার নেই। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের বকেয় বেতন পাওয়ার ব্যবস্থা যেন করে দেয়।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কারখানা শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সংগঠনসহ (বিজিএমইএ) আমরা একটি চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু মালিক তা মানেনি। কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেননি। শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা এখন কোথায় যাবে?
বেতনের দাবিতে টেঙ্গুরী পুকুরপাড় এলাকার গ্লোরিয়াস ড্রেস লিমিটেড, ফ্রাওলেন ফ্যাশন লিমিটেড, কুটুরিয়ার জেড এ অ্যাপারেলস লিমিটেড, একই এলাকার টপ গ্রেড ওয়াশিং লিমিটেড, নরসিংহপুর এলাকার আদিয়াত অ্যাপারেলস লিমিটেড, আদিয়ার অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড, খেজুরবাগান এলাকার ক্রিস্টাল কম্পোজিট লিমিটেড, কাঠগড়ার ফিউসার ক্লোথিং লিমিটেড ও জিরানির ফ্রাউলিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এবং কবিরপুর এলাকার পলমল গ্রুপের একটি কারখানার সামনে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এসআরএস