বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক এবং বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত যৌথ এক ঘোষণায় ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আর করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিকদের সুরক্ষায় আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে সদস্যদের প্রতি একইভাবে অনুরোধ জানায় পোশাক মালিকের এই দুই সংগঠন। এ বিষয়ে সদস্যদের চিঠি পাঠানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমরা এমন একটা সময় পার করছি যখন ক্রেতা তাদের অর্ডার বাতিল করছেন, তাদের কেউ দেরিতে টাকা দিচ্ছেন কেউ দিচ্ছেন না। এরপরও আমাদের দেওয়া সময়ের মধ্যে ৮৭ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করেছে। বড় সব কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করলেও ছোট ও মাঝারি কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। আমরা তাদের সহযোগিতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যারা প্রচলিত/অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করেন তাদের জন্য ব্যাংকে যাচ্ছি, সেখান থেকেও সাড়া পাচ্ছি।
‘তহবিল শুধু ব্যাংকের শর্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, লকডাউন চলছে, পরিবহন বন্ধ, সীমিত লেনদেন হচ্ছে, পুরোটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। অন্যদের বেতন পরিশোধে কাজ করে যাচ্ছি হয়তো সাময়িক বিচ্যুতি হবে তবে তা কাটিয়ে উঠতে পারবো। ’
তিনি আরো বলেন, এ সংকট বিশ্বব্যাপী, বিষয়টা এমন নয় যে প্রতি মাসের বেতনের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। বাকি যে ১৩ শতাংশ কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি আমরা চেষ্টা করছি আগামী ২০/২২ এপ্রিলের মধ্যে হবে। কোনোভাবেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত না যাওয়ার চেষ্টা করবো, আপনারা আমার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
ইএআর/এএ