শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত পর্যন্ত বিজিএমইএভুক্ত মোট ২ হাজার ২৭৪টি কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৫৬টি (৯০.৪২ শতাংশ) কারখানা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে বলে সংগঠনটির বিশ্বাসযোগ্য একটি সূত্র জানায়। বাকি ৯.৫৮ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানায় ওই সূত্র।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এবং বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত যৌথ এক ঘোষণায় ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধে সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
পরিবহন বন্ধ, সীমিত ব্যাংক লেনদেন এবং অনেক শ্রমিক বর্তমানে গ্রামে অবস্থান করায় বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বেশ কিছু কারখানাই বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেনি বলে দাবি করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমরা এমন একটা সময় পার করছি যখন ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করছেন। আমদানিকারক, ক্রেতাদের কেউ দেরিতে টাকা দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না।
তারপরও দ্রুত বাকি কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে জানিয়ে রুবানা হক বলেন, সংকট বিশ্বব্যাপী, বিষয়টা এমন নয় যে, প্রতি মাসের বেতনের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। বাকি যে কারখানার শ্রমিকদের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি আমরা চেষ্টা করছি আগামী ২০/২২ এপ্রিলের মধ্যে তা দেওয়া হবে। কোনোভাবেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত না যাওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা আমার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
ইএআর/এমইউএম/এইচজে