ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সবাই সহায়তা পাবেন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
করোনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সবাই সহায়তা পাবেন 

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা, খামারি, রপ্তানিকারক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি সংকট মোকাবেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের সংকট মেকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

রেজাউল করিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংকট মোকাবিলায় ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল করা এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনোভাবেই গাফিলতি সহ্য করা হবে না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপি-এর আওতায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের জন্য প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে কেনাসহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।  

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা ও খামারিদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে গৃহীত ঋণের কিস্তি ও সুদ এক বছরের জন্য মওকুফ, ২ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা এবং বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’

মন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটে কোনোভাবেই মুরগির বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহন ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্য মাছের পোনা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে।  কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সমস্যা সার্বক্ষণিকভাবে সমাধান করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা,  এপ্রিল ১৯, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।