সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিএস জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হার ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে নেমে ২-৩ শতাংশ হতে পারে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়, তবে সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি আরও কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
প্রবৃদ্ধি কমলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কমবে মাথাপিছু আয়। ফলে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় না কমার ধারাবাহিকতা ভেঙে যাবে বলে বিবিএস সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমবে। প্রবৃদ্ধি কমলে মাথাপিছু আয় কমে যাবে স্বাভাবিক। আমাদের কখনই মাথাপিছু আয় কমেনি। প্রবৃদ্ধির মধ্য থেকে নীট খরচ বাদ দিয়ে দেশের সমস্ত মানুষকে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় বের হয়ে যায়। প্রবৃদ্ধি কমার কারণে মাথাপিছু আয় কমবে। তবে কতটা কমে দেখার বিষয়। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যে তথ্য দিচ্ছে তাতে ভয়ংকরভাবে প্রবৃদ্ধি কমবে। তবে এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) একটু ভালো বলছে। তারপরও করোনার প্রভাবে এবার মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি কমবে। '
মাথাপিছু আয় প্রসঙ্গে বিবিএস সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলেই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি সব সময় ইতিবাচক থাকায় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। স্বাধীন দেশের শুরুতে যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল ৬৭৬ টাকা সেখানে মাত্র দুই যুগ পর(১৯৯৫-৯৬) সে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৫২ টাকা। এর পরে ১৯৯৮-৯৯ সালে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১৪৩ টাকা। এক ধাপে ২০০০-০১ সালে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৯১ টাকা। এর পরে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৪৪৮ টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৪৪ টাকা মাথাপিছু আয় হয়।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে লাখ টাকা ছাড়ায় মাথাপিছু আয়। এই সময় মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২১ টাকা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা।
কিন্তু করোনার প্রভাবে এ ধারাবাহিতা নাও থাকতে পারে জানায় বিবিএস।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
এমআইএস/এবি