করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন ও ধান সরবরাহের আবেদনের সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের উপজেলাগুলো অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কিনবে সরকার। এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে ২২টি উপজেলায় ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার অনুমোদন দেওয়া হলো।
ইউনিয়নভিত্তিক লটারি করে আ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা যদি যৌক্তিক প্রতীয়মান না হয় বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা যদি এতে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ নীতিমালা অনুসরণ করে প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ কার্যক্রমে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন ও ধান সরবরাহের আবেদনের সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলাগুলো-গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।
জানা গেছে, কৃষক তথ্য দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করবে। রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ্রুভড হলে তিনি ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ডেটাবেজে জমা হবে। পরে উপজেলা নির্রাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করবে। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হয়ে যাবেন, তাদের অনলাইনেই বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হবে। কৃষক এসব বিষয়ে এসএমএস পাবেন। এছাড়া একটা ওয়েটিং লিস্টও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক ধান না দিলে ওয়েটিং লিস্ট থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়া হবে।
গত আমন মৌসুমে সাত বিভাগের ১৬ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪ জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬ উপজেলায় (অ্যাপে আমন সংগ্রহ করা) মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়। ২২ উপজেলার মধ্যে আগের ১৬টি উপজেলাও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
জিসিজি/এএটি