সোমবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী’ অর্থাৎ স্থানীয়ভাবে কৃষি এবং বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণি/পেশার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান; অতিদরিদ্র, দরিদ্র অথবা কোনো অনগ্রসর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তি এবং অসহায়/নিগৃহীত নারী সদস্যরা এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।
একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ/বিনিয়োগের আওতায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং যৌথ প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ আনুপাতিক হারে বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে এ অর্থ পাবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ নেবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক সুদ/মুনাফা/সার্ভিস চার্জের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ব্যতীত অন্য কোনো চার্জ/ফি আদায় করতে পারবে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট থেকে সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের ক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
এসই/এফএম