তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীরা বাঁচবেন না। তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইর সাবেক সহ সভাপতি।
তিনি বলেন, সারাদেশের ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে গড়ে ১৫ জন কর্মচারী রয়েছেন। সে হিসাবে ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৯২৯ জন কর্মচারী। তারা এবং তাদের পরিবারগুলো অসহায়ের মতো এখন ঘরে অবস্থান করছেন। এই কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার আংশিক প্রয়োজন মেটাতে কমপক্ষে আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। ওই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে দোকান কর্মচারীদের মূল বেতনের অর্ধেক হিসেবে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা দেবেন মালিকরা। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যেভাবে সহায়তা করেছিলেন, এবারও ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্যোগ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, প্রতি কর্মচারীর গড় মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা হিসাবে, তাদের আংশিক বেতন হিসেবে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ওই ঋণ তহবিল গঠনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি। এই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিনা সুদে ঋণ পাবেন। প্রাপ্ত ঋণ থেকে কর্মচারীদের জীবিকানির্বাহের ব্যবস্থা করা হবে। এই ঋণ শুধু তারা পাবেন, যাদের দোকানে কর্মচারীর সংখ্যা ১৫ জন বা তার নিচে। আগামী এক বছরের জন্য এই ঋণ দিতে হবে। যা ছয় মাস পর থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ফেরত দিতে শুরু করবেন। এরই মধ্যে যেসব ব্যবসায়ীর ঋণ রয়েছে, তাদের কিস্তি পরিশোধের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হোক। এক্ষেত্রে চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ আদায় বন্ধ করতে হবে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন নগদ টাকা লেনদেন করেন। আবার নগদ টাকায় বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু এখন দোকান বন্ধ থাকায় কিছু করতে পারছেন না। ফলে ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন মোট ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এসব দোকানে প্রতিদিন গড় বিক্রির পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। যা থেকে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ করেন মালিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
আরএ
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন