তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে চায় না। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার টাকা প্রকৃত ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হোক।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে করপোরেট কর হিসেবে পাওয়া অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে পারে সরকার। বড় ব্যবসায়ীদের মতো সব খুচরা ব্যবসায়ীকেও ভ্যাট রিবেট দেওয়া হোক। অগ্রিম কর মওকুফ করা হোক।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সরকারের প্রদান করা বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা সত্ত্বেও কুটির, এমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তি সহজতর নাও হতে পারে। বেশির ভাগ কুটির, এসএমই, এমএসএমই ও নগদ লেনদেন নির্ভর ব্যবসাসমূহ ঋণ প্রাপ্তির আবশ্যকীয়তা পূরণের অভাবে অথবা বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো ব্যাংকের সঙ্গে খুব একটা ভালো সুসম্পর্ক থাকে না। ফলে প্রণোদনার টাকা থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ব্যবসায়ীরা।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, নতুন উদ্যোক্তা, যাদের ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ দুই বছর বা তারও কম, তাদের ব্যবসার পুনর্নিবন্ধন ফি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল, ব্যাংক সংক্রান্ত অন্যান্য চার্জ এবং আমদানি, রপ্তানি সংক্রান্ত বন্দরের চার্জসমূহ মওকুফ করা হোক। এ ব্যবসায়ীদের দুই বছরের জন্য পুনরর্থায়ন স্কিমের আওতায় এক শতাংশ সুদে চলতি মূলধন হিসেবে ‘ব্যবসায় পুনরুদ্ধার তহবিল’ দেওয়া হোক।
শামস মাহমুদ বলেন, ই-কমার্স ব্যবসাতে যাতে আরও নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহী হতে পারেন এজন্যে তাদের ভ্যাট, ট্যাক্স অব্যাহতি দেওয়া অথবা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হোক। অপ্রচলিত খাতের ভাসমান ব্যবসায়ী, হকার, ভাসমান দোকান, মুদি ও এক ব্যক্তি নির্ভর একক ব্যবসায়ী যারা আছেন তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় এনে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ব্যবসা পুনর্গঠনে জরুরি তহবিল দেওয়া হোক।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
আরবি/