ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বর্তমানে অর্থ-খাদ্য সংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
বর্তমানে অর্থ-খাদ্য সংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থসংস্থান আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।       

শনিবার (২৫ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম এইচ হাজ্জার সঙ্গে করোনার প্রভাবে মানবজাতি ও অর্থনীতির উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে টেলিকনফারেন্সে আলোচনা করেন। আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইএসডিবি সদস্য দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে কৌশলগত প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার জন্য সংস্থাটির প্রেসিডেন্টেকে ধন্যবাদ জানান মুস্তফা কামাল। তিনি প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্ব ও ভূমিকার প্রশংসা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আইএসডিবি’র এ পদক্ষেপ সদস্য দেশগুলোর মানুষ ও অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ আইএসডিবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৭৪ সাল থেকে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আইএসডিবি’র সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ঢাকায় আঞ্চলিক কেন্দ্র চালু করেছে।

আইএসডিবি’র আঞ্চলিক হাবের উপস্থিতিতে আঞ্চলিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মন্ত্রী আন্তরিকভাবে আশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন খাতে আইএসডিবি’র সহায়তায় মোট ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হার সন্তোষজনক।  

অর্থমন্ত্রী ও আইএসডিবি প্রেসিডেন্টের মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, লকডাউন ও ছুটির কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপি’র ৩.৫ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা এবং আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, পরিষেবা খাত এবং কুটির শিল্পগুলোকে সুরক্ষার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী মূলধনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।  

আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম. এইচ হাজ্জার বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, আইএসডিবি বাংলাদেশের জনগন ও সরকারের সঙ্গে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

অর্থমন্ত্রী তিনটি ক্ষেত্রে আইএসডিবির সহায়তা কামনা করেন। সেগুলো হলো- খাদ্য নিরাপত্তা,  চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা এবং কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও যান্ত্রিকীকরণ।

আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট উক্ত তিনটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং বলেন আইএসডিবি টিম বাংলাদেশ টিমের সঙ্গে বসে অর্থায়ন ও টাইমলাইন আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।