তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে আপতত দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে ফিরতে নিষেধ করেছে সংগঠনটি।
জানা যায়, কাজ না থাকায় অনেক পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। আবার চাকরি থাকলেও অনেক কারখানায় বেতন হবে না। অনেককে ফোন করে বলা হয়েছে দ্রুত কাজে যোগ দিতে। তাই চাকরি বাঁচাতে পেটের তাগিদে কাজে যোগ দিতে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছেন পোশাক শ্রমিকরা।
রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে দেখা গেছে, বিভিন্নস্থান থেকে পোশাক শ্রকিমরা দলে দলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গাদাগাদি করে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপভ্যানে করে রওনা হয়েছেন তারা। তবে চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের আটকে দিতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কের ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজারে চেক পোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নির্দেশনা না থাকায় তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে এবং যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
আকবর হোসেন নামের এক শ্রমিক জানান, গার্মেন্টস খুলেছে বলে কারখানা থেকে ফোনে তাদের জানানো হয়েছে। না গেলে ছাঁটাই করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছে, তাই কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এসএইচডি/ওএইচ/