এজন্য প্রতিটি কারখানায় একজন স্টাফকে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিয়ে (হটলাইন নম্বর) সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রাখার কথা বলা হয়েছে। যাতে কারখানার কোনো শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে ওই নম্বরে অবহিত করতে পারে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বিজিএমইএ'র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প কারখানায় করোনা রোগী চিহ্নিত হলে বিজিএমইএকে অবহিতকরণের পাশাপাশি বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারে কর্মরত চিকিৎসকদের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক সহায়তা থাকছে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় সহায়তায় নেওয়া যাবে।
তাছাড়া প্রতিটি কারখানায় একজন স্টাফকে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিয়ে (হটলাইন নম্বর) সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রাখার কথা বলা হয়, যিনি হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
এছাড়া করোনা মোকাবিলায় চার অঞ্চলভিত্তিক মনিটরিং টিম কাজ করবে। মোট চারটি জোনে কাজ করবে মনিটরিং টিম।
প্রথম জোন ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনে আটজন নিয়োজিত থাকবেন। তাদের এলাকাগুলো হলো- রামপুরা, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রমনা, পল্টন থানা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, গুলশান ও বনানী থানা, বাড্ডা, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানা, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ থানা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল ও ক্যান্টনমেন্ট থানা, মিরপুর-১০, ১১, ১২ ও পল্লবী থানা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শাহআলীবাগ, মিরপুর-১, মিরপুর-২ ও দারুস সালাম থানা।
দ্বিতীয় সাভার ও আশুলিয়ায় জোনে ছয়জন মনিটরিংয়ে থাকবেন। এ জোনের এলাকাগুলো হলো- আশুলিয়া থানা, গণকবাড়ী, ইপিজেড, জিরানী বাজার, বিকেএসপি, হেমায়েতপুর, সাভার, নবীনগর, ধামরাই ও মানিকগঞ্জ।
তৃতীয় গাজীপুর জোনে আটজন মনিটরিংয়ে থাকবেন। তাদের এলাকাগুলো হলো- টঙ্গি থেকে মাওনা, শ্রীপুর, ভালুকা, ত্রিশাল ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা-কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, শফিপুর, চন্দ্রা ও মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা-টু-গাজীপুর সদর।
চতুর্থ জোন নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী মনিটরিং করবেন তিনজন। তাদের এলাকাগুলো হলো- শ্যামপুর, ডেমরা, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর থানা, কদমতলী থানা, সিদ্দিরগঞ্জ, কাঁচপুর, রূপগঞ্জ, ভুলতা, আড়াইহাজার, নরসিংদী জেলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, চাষাড়া, শিবুমার্কেট, পাগলা, বিসিক ও নরসিংদী জেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
ইএআর/আরবি/